সৈয়দ হাসসান ।।
ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেফতার হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি হলো বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের করা ও সারাদেশে এর অপসংস্কৃতি চালু করা। এ ধরনের মামলার জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত।
কামরুল ইসলামের কর্মকাণ্ড শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। তার মন্ত্রণালয়কালীন সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠে আসে। একদিকে তার এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যর্থতা, অন্যদিকে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
এছাড়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি তহবিলের অপচয় ও অনিয়মের সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগও বারবার সামনে এসেছে। বিরোধী দলকে দমন করার উদ্দেশ্যে তার নানা কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
শেষ কথা
কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য এক দুঃখজনক অধ্যায়। তার বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে এগোয় এবং এসব অভিযোগের সত্যতা কীভাবে প্রতিফলিত হয়, তা এখন দেখার বিষয়।