ডেস্ক রিপোর্ট ।।
বৃষ্টির কারণে বাতিল হলো অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রত্যাশিত ম্যাচ। স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও টসও হয়নি, বল গড়ায়নি। স্থানীয় সময় বিকাল ৫.১০টায় ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। ম্যাচ শুরুর নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা দশ মিনিট পর এবং ২০ ওভারের ম্যাচের জন্য নির্ধারিত কাট-অফ সময় (সন্ধ্যা ৭.৩২) থেকে দুই ঘণ্টা ২২ মিনিট আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি দুটি দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল।
সেমিফাইনালের দৌড়ে কী হবে?
এই ফলাফলের অর্থ হলো, যদি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে জয়ী হয় (অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে), তাহলে তারা সেমিফাইনালে যাবে। আগামীকাল ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মধ্যে ম্যাচটি নকআউট হিসেবে গণ্য হবে, যেখানে পরাজিত দলটি প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়বে। বিজয়ী দলকে সেমিফাইনালে যেতে হলে তাদের পরের ম্যাচেও জয়ী হতে হবে। ফলে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান এবং শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচ দুটি কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে হলে তাদের অবশ্যই উভয় ম্যাচে জয়ী হতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কৌশলগত সিদ্ধান্ত
এই ম্যাচের জন্য কোনো একাদশ ঘোষণা করা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা হেনরিক ক্লাসেনের উপস্থিতি নিয়ে রহস্য বজায় রেখেছে। ক্লাসেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচে অংশ নেননি, কারণ তিনি কনুইয়ে আঘাত পেয়েছিলেন। শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তার আরও তিন দিনের রিকভারির সময় আছে।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি
এটি ছিল ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের পর অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ, যেখানে অস্ট্রেলিয়া জয়ী হয়েছিল। আইসিসি ইভেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য বজায় রয়েছে। দুটি দলের মধ্যে মোট নয়টি ম্যাচ হয়েছে, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া চারটি, দক্ষিণ আফ্রিকা তিনটি ম্যাচ জিতেছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ টাই হয়েছিল এবং এবারই প্রথম তাদের ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হলো। যদি এই টুর্নামেন্টে দুটি দল আবার মুখোমুখি হয়, তবে তা হবে ফাইনালে।