বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩১, ২০২৫

ঢাকায় পাক হাই কমিশনে ‘ইয়াওমে তাশাক্কুর’ উদযাপন

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিজয়ের স্মরণ

by ঢাকাবার্তা
ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনে ‘ইয়াওমে তাশাক্কুর’ উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার ।।

ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাই কমিশন আজ (১৬ মে) ‘ইয়াওমে তাশাক্কুর’ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভারতের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ ও ‘মারকায়ে হক’-এ পাকিস্তানের বিজয় উদযাপন করতেই এই কর্মসূচির আয়োজন। এতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে কোরআন তিলাওয়াত, শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া এবং দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনে ‘ইয়াওমে তাশাক্কুর’ উদযাপন

ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনে ‘ইয়াওমে তাশাক্কুর’ উদযাপন

পাকিস্তানি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলা হয়, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর অদম্য সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বে গর্বিত পুরো জাতি। তাঁরা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা চিরকাল ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

উল্লেখ্য, দিনটিকে ঘিরে হাই কমিশনের চ্যান্সারি ভবন আলোকসজ্জায় সাজানো হয়।

পাকিস্তানজুড়ে আজ ‘ইয়াওমে তাশাক্কুর’ পালিত হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। ইসলামাবাদের পাকিস্তান মনুমেন্টে আয়োজিত প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিক।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভারতের হঠাৎ হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী যে সাহসিকতা ও দক্ষতায় জবাব দিয়েছে, তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তাঁর ভাষায়, “আমাদের শকুনেরা এমন জবাব দিয়েছে, যাতে শত্রুর ঘাঁটি, অস্ত্রাগার ও বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গেছে।”

ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, মে মাসের ৬-৭ তারিখ রাতে ভারতের পালঘাম হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটি বিমান হামলা চালায়, যাতে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক হতাহত হন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও মিসাইল হামলা চালায়। সপ্তাহব্যাপী এ উত্তেজনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আলোচনায় বসেন।

ইয়াওমে তাশাক্কুর উপলক্ষে রাজধানী ইসলামাবাদে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনটি শুরু হয়, প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে ২১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। করাচিতে মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জানান, এই সংঘর্ষে সিন্ধু প্রদেশের সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সদস্য।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শহীদ স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফের বাসায় গিয়ে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহত সেনা ও বেসামরিকদের দেখতে যান রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে। তিনি বলেন, “এই যুদ্ধে পুরো জাতি ও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে সাহসিকতা ও ঐক্য দেখিয়েছে, তা নজিরবিহীন।”

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net