স্টাফ রিপোর্টার ।।
শনিবার বিকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের হঠাৎ উপস্থিতি জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। রাজধানীর মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রায়ট গিয়ার, হেলমেট ও বডি আর্মারে সজ্জিত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়। তারা পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ব্যাগ তল্লাশি করেন, সন্দেহজনক যানবাহনও থামিয়ে পরীক্ষা চালান।
এ বিষয়ে ঢাকার এক থানার ওসি বলেন, “ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আমাদের ডিসপ্লে করার নির্দেশনা ছিল। এটি পুরো ঢাকায় নিয়মিতভাবে চলছে, অন্য কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।”
- বিকেলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি
- রায়ট গিয়ার, হেলমেট, বডি আর্মারে প্রস্তুত অবস্থান
- পথচারী ও যানবাহনে তল্লাশি
- ডিএমপি জানায়, এটি নিয়মিত ফোর্স মোবিলাইজেশনের অংশ
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানও জানান, “এটা আমাদের নিয়মিত নিরাপত্তা মহড়া, ফোর্স মোবিলাইজেশনের একটি অংশ। কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।”
ফার্মগেট এলাকায় পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়া এক ব্যক্তি জানান, “আমি মোটরসাইকেলে বই নিয়ে যাচ্ছিলাম। পুলিশ ব্যাগ খুলে বইগুলো পরীক্ষা করে দেখেছে।”
সাধারণত জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় বাহিনীকে প্রস্তুত করা ও মোতায়েনের প্রক্রিয়াকে ‘ফোর্স মোবিলাইজেশন’ বলা হয়। এতে রিজার্ভ ফোর্স সক্রিয়করণ, সরঞ্জাম প্রস্তুতি ও কৌশলগত মহড়া অন্তর্ভুক্ত থাকে।
সম্প্রতি ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করছে। আগামী ১৩ নভেম্বর ‘লকডাউন’-এর মতো কর্মসূচি ঘোষণার পর পুলিশের এই তৎপরতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও কোনো কর্মকর্তা স্বীকার করেননি, তবু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “সম্প্রতি ককটেল বিস্ফোরণ ও ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচির প্রেক্ষিতে এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
শুক্রবার রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, একজনকে আটক করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
শনিবার চার্চ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ এখনো দায়িত্বে রয়েছে। রমনা থানার এএসআই নাজমূল হুদা জানান, “চার্চের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে, কোনো সমস্যা নেই।”
রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “দুই মোটরসাইকেল আরোহী ককটেল ছোড়ে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং উদ্দেশ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”