স্টাফ রিপোর্টার ।।
মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজধানীর মোহাম্মদপুরে হঠাৎ খুনখারাবি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসমুক্ত মোহাম্মদপুরের দাবিতে এলাকাবাসী গতকাল শনিবার বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। এমন অবস্থার জন্য তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়ী করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অগ্রগতির জন্য তাঁরা পুলিশকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন ও জনবল–সংকটে পুলিশের টহল কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়নি। এই সুযোগে অপরাধী চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পকেন্দ্রিক যুবকদের কেউ কেউ অপরাধ তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন; আর মোহাম্মদপুরে কিছু এলাকায় গড়ে উঠেছে নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যদের কেউ কেউ ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে যুক্ত হয়েছে।
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান গতকাল বলেন, নানা কারণে মোহাম্মদপুর আগে থেকেই রাজধানীর অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোর একটি। ১০ শীর্ষ সন্ত্রাসীর বৃত্তান্ত খোঁজ করলে দেখা যায়, এর মধ্যে ছয়জনের জন্ম মোহাম্মদপুরে। জনবল–সংকটের কারণে পুলিশ সেখানে ঠিকমতো টহল দিতে পারছে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হিসাব অনুযায়ী, ১ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর অর্থাৎ গত ২৫ দিনে মোহাম্মদপুর থানায় চারটি হত্যাকাণ্ড, একটি ছিনতাই ও দুটি ডাকাতির মামলা হয়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে এই থানায় ১৭ খু্ন ও একটি ছিনতাইয়ের মামলা হয়।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুরে প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে, যার বেশির ভাগই গণমাধ্যমে আসে না। ছিনতাইকারীর আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে কিংবা থানায় মামলা হলে তা কেবল গণমাধ্যমে আসে। অনেকেই হয়রানির ভয়ে থানা-পুলিশ পর্যন্ত যেতে চান না। থানায় ছিনতাইয়ের যে পরিসংখ্যান লিপিবদ্ধ করা হয় তা প্রকৃত ঘটনার চেয়ে অনেক কম।