ডেস্ক রিপোর্ট ।।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ এখন টাকায় ভাসছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘোষিত সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিনি একমাত্র ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার। এই চুক্তির অধীনে বিসিবির কাছ থেকে মাসে ১০ লাখ টাকা বেতন পাচ্ছেন তাসকিন।
শুধু বেতনই নয়, আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্যও আলাদা ম্যাচ ফি পান ক্রিকেটাররা। বিসিবির সূত্র অনুযায়ী, চলতি বছর থেকে টেস্ট ম্যাচের জন্য ৮ লাখ, ওয়ানডের জন্য ৪ লাখ ও টি-টোয়েন্টির জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ম্যাচ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

তাসকিন আহমেদ
২০২৫ সালের এফটিপি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ৬টি টেস্ট, ১২টি ওয়ানডে ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলবে। যদি তাসকিন সব ম্যাচ খেলতে পারেন, তাহলে শুধু ম্যাচ ফি বাবদ তাঁর আয় হবে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। জাতীয় দলের বেতন ও ম্যাচ ফি মিলিয়ে তাঁর সম্ভাব্য আয় দাঁড়াচ্ছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে দৈনিক ভাতা।
জাতীয় দলের বাইরে ঘরোয়া লিগ থেকেও বিশাল অঙ্কের আয় হচ্ছে তাসকিনের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রাজশাহীর হয়ে খেলেছেন তিনি, যেখানে প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাঁর মূল্য ছিল ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলার জন্য তাঁকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে তাঁর আয় প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ক্রিকেট খেলে তাসকিনের ২০২৫ সালের সম্ভাব্য আয় দাঁড়াচ্ছে ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

তাসকিন আহমেদ
বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নিলে আয় আরও বাড়তে পারে। ২০২৩ সালে জিম আফ্রো টি-টেনে খেললেও এরপর বিদেশি লিগে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে অন্যদের মতো তিনি সুযোগ পেলে আয় আরও কয়েক কোটি টাকা বাড়তে পারে।
ক্রিকেটারদের আরেকটি বড় আয়ের উৎস বিজ্ঞাপন। বিভিন্ন কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করে তারা বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। যদিও এই খাত থেকে ঠিক কত আয় করেন, তা প্রকাশ করা হয় না।
জাতীয় দল, ঘরোয়া ক্রিকেট এবং সম্ভাব্য বিজ্ঞাপনী চুক্তি মিলিয়ে বলা যায়, তাসকিন আহমেদ এখন সত্যিই টাকায় ভাসছেন।