স্টাফ রিপোর্টার ।।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়ার ভুল ও অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়ানোর কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, “ভারতীয় মিডিয়া একটি সংগঠিত অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সহকারী হাইকমিশনে হামলার মতো ঘটনার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।”
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি ভারতীয় মিডিয়ার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, সংখ্যালঘুদের নিয়ে যেসব মৃত্যু ও ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর পেছনে রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে। ধর্মীয় নিপীড়নের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
পটভূমি
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংখ্যালঘুরা ধারাবাহিক নিপীড়নের শিকার। বিষয়টি ভারতের সাধারণ জনগণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীতে সহকারী হাইকমিশনে হামলার রূপ নেয়।
শফিকুল আলম বলেন, “আমরা চাই ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সরাসরি বাংলাদেশে এসে প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান করুন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যেমন বিবিসি, সিএনএন ইতোমধ্যেই নিরপেক্ষ ও সঠিক তথ্য প্রদান করেছে। আমরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনকেও বাংলাদেশে এসে অবস্থা পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “সংখ্যালঘু ইস্যুকে অজুহাত করে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করার অপচেষ্টা বন্ধ হওয়া উচিত। আমাদের জনগণ এবং সিভিল সোসাইটি এ বিষয়ে সচেতন এবং সক্রিয় হতে হবে।”
কূটনৈতিক পদক্ষেপ
বাংলাদেশের সরকার ও সিটিজেন গ্রুপগুলো ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর এই বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন এবং যথাযথ তদন্তের অনুরোধ করেন।
উপসংহার
বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাস করে, সংখ্যালঘু ইস্যুতে মিথ্যা প্রচার বন্ধ হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ার আহ্বান জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চাই, যা উভয় দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।”