স্টাফ রিপোর্টার ।।
রাজধানীর গাউসুল আজম সুপার মার্কেটে বিএনপির সাবেক নেতার ৮টি দোকান দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। দোকান দখল করতে না পেরে দোকানের বিদ্যুৎ বিচ্চিন্ন করে দিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। এই বিষয়ে নিউমার্কেট থানায় অভিযোগও করেছে বিএনপির নিউমার্কেট থানার সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও ব্যবসায়ী জালাল আহম্মেদ জসিম।
জানা যায়, গত ১৭ বছর ধরে গাউসুল আজম মার্কেট সমিতির সভাপতির পদ ধরে রেখেছেন আ.লীগের মোতালেব মিয়া। ৫ আগষ্টে সরকার পতনের পর নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারি কামাল হোসেন কে মার্কেটের সেক্রেটারি করার চেষ্টা করে। তখন জালাল আহম্মেদ জসিমের নেতৃত্যে ব্যবসায়ীরা সভাপতি মোতালেব মিয়ার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেন। আর এতেই জসিম মিয়ার উপর অত্যাচার শুরু করেন মোতালেব মিয়া এবং কামাল হোসেন।
নিউমার্কেট থানায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জসিম মিয়া অভিযোগ করেন, ‘রাষ্ট্রের চলমান পরিস্থিতিতে ৫ আগস্টের কিছুদিন পর্যন্ত মার্কেটের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা মিলে একটি সমন্বয়ক কমিটি করে মার্কেট পরিচালনা করার জন্য। তার মধ্যে আমি দ্বিতীয় ছিলাম। অত্র মার্কেটের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সংখ্যা ১২ জন তার মধ্যে আওয়ামীলীগের দোসর ও অর্থদাতা মোতালেব নিয়া ছাড়া ১১ জনই অনুপস্থিতি রয়েছে। এমতাবস্থায় মার্কেটের বিদ্যুৎ বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স সহ মার্কেট পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা মার্কেটের দোকান মালিকরা মার্কেটের দোকানভাড়া ও নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করা হয়, উক্ত আলোচনা সভায় ডিএমপি’র নিউমার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহসীন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন, এর কিছুদিন পর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন নামের একজন জোর পূর্বক মার্কেটের বাহিরের লোকবল নিয়া সাধারণ সম্পাদক বলে নিজেকে দাবী করে। কিন্তু সে কোনো মার্কেট কমিটির নির্বাচিত সদস্য নয়, এটি প্রমাণিত। বুধবার সে অবৈধভাবে আমার ভাড়া দোকান ও নিজ দোকানের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে, পরবর্তী সাধারণ দোকানিদের হস্তক্ষেপে রেহায় পেলেও কয়েকঘন্টা পর আমার দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়। পরে অত্র মার্কেটের সাধারণ ব্যবসায়ীরা আমার পক্ষ হয়ে সমিতি অফিসে গেলে বিদ্যুৎ বিল না নিয়ে দোকান খোলার বিষয়টি নাকোচ করে দেন। অফিসে ফোন দিলে হুমকি-ধামকি দিয়ে অফিসের কর্মচারী জানায় বিদ্যুৎ পাইন দিতে পারবো না, মার্কেটের কথিত সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন নিষেধ রয়েছে। পরে আমার কাছে কিছু লোকজন পাঠিয়ে তিনি মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেছে এবং সরাসরি মার্কেটে এলে মিচুয়াল করতে বলেছে। আমার দোকানঘর দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবি করায় আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি, আমার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় এবং আর্থিক ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছি।’
মোতালেব মিয়া এবং কামাল হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তারা কল রিসিভ করেনি।