ডেস্ক রিপোর্ট ।।
সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নবাব সলিমুল্লাহর ১১০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক আইওয়ান-ই-কায়েদ-ই-আজমে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে নজরিয়া-ই-পাকিস্তান ট্রাস্ট এবং পাকিস্তান-বাংলাদেশ ব্রাদারহুড সোসাইটি। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ নবাব সলিমুল্লাহর মুসলিম অধিকার ও পরিচিতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকার উপর আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯০৬ সালে নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ পাকিস্তান আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে।

সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নবাব সলিমুল্লাহর ১১০তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান।
নবাব সলিমুল্লাহর স্বতন্ত্র মুসলিম পরিচয়ের ভাবনা এবং মুসলিম অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাংলা মুসলিম নেতাদের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর ঐতিহাসিক অবদান পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয় দেশের মুসলিম সমাজকে এখনও অনুপ্রাণিত করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা, বিশেষ করে নজরিয়া-ই-পাকিস্তান ট্রাস্টের সচিব মুজাহিদ হুসেইন সৈয়দ, নাহিদ ইমরান গিল এবং তেহরিক-ই-পাকিস্তান ওয়ার্কার্স ট্রাস্টের সচিব সাইফুল্লাহ চৌধুরী, নবাব সলিমুল্লাহর মতো মুসলিম নেতাদের অবদান স্মরণ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, তাঁর দূরদর্শিতা ও সংগ্রাম পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।

সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নবাব সলিমুল্লাহর ১১০তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান।
পাকিস্তান-বাংলাদেশ ব্রাদারহুড সোসাইটি দুই দেশের বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা দুই দেশ, কিন্তু এক জাতি। আমাদের ভবিষ্যৎ অভিন্ন।”