সৈয়দ হাসসান ।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষায় প্রণীত ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ সংশোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল, যা কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছিল। এটি স্পষ্টভাবে বৈষম্যমূলক হিসেবে বিবেচিত হয়। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। এজন্য আইনটি রহিত করতে অধ্যাদেশ জারি করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, তাদের সন্তান এবং সন্তানদের স্বামী-স্ত্রী ও নাতি-নাতনিদের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিরাপত্তা সুবিধা, নিরাপদ আবাসনসহ সরকার থেকে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা বাতিল হয়ে গেল।
এই আইনের অধীনে একজন ‘ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন’-এর (ভিআইপি) জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে, তাদের জন্যও আজীবন একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল।
এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক সদস্যের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল এই আইনে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর, এই আইনগুলো বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে বলা হয়, জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১ এর কিছু ধারা অসাংবিধানিক এবং অবৈধ, যা বাতিল করা উচিত।