বাণিজ্য ডেস্ক।।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কিছু দেখছেন না বলে জানান বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। আর যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিকার স্মারকের সঙ্গে আগামী সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও মনে করেন তিনি।
বাণিজ্যসচিব বৃহস্পতিবার ঢাকায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বাণিজ্যসচিব জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যে ধরনের শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সে ধরনের কিছু পায় না। ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক দিয়ে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র এমন সব দেশের সঙ্গেও বাণিজ্য করে, যেগুলোতে গণতন্ত্র নেই। সেসব দেশে এমনকি তথ্যের অবাধ প্রবাহও নেই, বরং আছে একদলীয় শাসন।
বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা অনেক উন্মুক্ত। এখানে গণতন্ত্রের চর্চা আছে। এখানে সবকিছু হয় স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। ফলে এ দেশের বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আছে বলে মনে করি না।’
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিকার স্মারকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কিছু পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানান তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে ইইউ ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কিছু কথা আছে। সেগুলো উন্নত করার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, এটা নতুন কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এ নীতি সব দেশের জন্যই।’
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিকার স্মারকের কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো চাপ অনুভব করছে না বলেও জানান বাণিজ্যসচিব। বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত এসব নিয়ে কাজ করছি। সামনে দেশের শ্রমিকদের অধিকার কীভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, জোর দিচ্ছি সেদিকে।’
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিকার স্মারকে বাংলাদেশ নিয়ে যে কথা বলা আছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখেছি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটা সমঝোতায় সই করেছেন, যেখানে বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। আমরা অনেক বছর ধরে এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর সঙ্গে কাজ করছি। বিশেষ করে ১০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর সঙ্গে অনেক বেশি যুক্ত হয়েছি।’
যুক্ত হওয়ার কিছু উদাহরণও দেন বাণিজ্যসচিব। বলেন, ‘আমাদের মধ্যে প্রায়ই মতবিনিময় ও বৈঠক হয়। ইইউর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সম্প্রতি বৈঠক হয়েছে টিকফার। বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও আইএলওর কিছু বক্তব্য আছে। আমরা শ্রম অধিকারের উন্নতি করার জন্য কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: আইএমএফের ঋণের শর্তের তুলনায় কর আদায় কম