খেলা ডেস্ক।।
কে বলবে, এই দক্ষিণ আফ্রিকা সেঞ্চুরিয়নে ইনিংস ও ৩২ রানে ভারতকে হারিয়েছিল! বিদায়ী টেস্ট বুঝি রাঙানো কঠিন হয়ে গেলো কেপটাউনে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কত্ব পাওয়া ডিন এলগারের জন্য। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ঘাসের পিচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবে লজ্জা পেতে হবে, ভাবতেও পারেননি তিনি। মোহাম্ম সিরাজের সুইং, সিম ও অ্যাকুরেসিতে বিধ্বস্ত প্রোটিয়ারা। দারুণ কন্ডিশন পেয়ে ভারতীয় পেসার বিধ্বংসী বোলিং করলেন। মাত্র ৫৫ রানে অলআউট স্বাগতিকরা।
মাত্র ৯ ওভার বল করে ১৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন সিরাজ। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং লাইন ধসে পড়ে। এক সেশনেই শেষ স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। ২৪তম ওভারে অলআউট তারা। এই ভেন্যুতে অল্প রানে অলআউট হওয়ার ইতিহাস আছে। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ড ৪৫ রানে এবং ২০১১ সালে ৪৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। তবে ভারতের বিপক্ষে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন ইনিংস। ২০১৫ সালে নাগপুরে ৭৯ রানে অলআউটের ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে তারা। ঘরের মাঠেও এটাই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর, ২০১৮ সালে এই নিউল্যান্ডসেই ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
সঠিক লাইনে বল করার সুবাদে দ্রুত উইকেট পান সিরাজ। তৃতীয় স্লিপে যশস্বী জয়সওয়ালের ক্যাচ বানান এইডেন মার্করামকে (২)। স্বাগতিক অধিনায়ক এলগার (৪) তার শেষ টেস্টে থেমে যান বোল্ড হয়ে।
শর্ট লেগে অভিষিক্ত ট্রিস্টান স্টাবসকে (৩) ক্যাচ বানান যশপ্রীত বুমরা। সিরাজের বলে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ হন টনি ডি জর্জি (২)। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১৫ রানে ৪ উইকেট। ডেভিড বেডিংহ্যাম (১২) কিছুটা থিতু হতে পেরেছিলেন। কিন্তু সিরাজের এক ডেলিভারি বুঝতে না পারার খেসারত দিতে হয় জয়সওয়ালের ক্যাচ হয়ে।
কাইল ভেরিয়েন্নে (১৫) ও মার্কো ইয়ানসেনও (০) ভারতীয় সিমারের শিকার হন। আরেক সিমার মুকেশ কুমার তার প্রথম উইকেট নেন কেশব মহারাজকে (৩) ফিরিয়ে। নান্দ্রে বার্গারকে (৪) বুমরা তার দ্বিতীয় শিকার বানান। কাগিসো রাবাদা (৫) শ্রেয়াস আইয়ারের ক্যাচ হন। তার উইকেট নিয়ে মুকেশ দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের পরিসমাপ্তি টানেন। ২.২ ওভারে কোনও রান দেননি তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে লিটন-শান্তদের ব্যস্ত সূচি