বেসরকারি টেলিভিশন চ্যালেন সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সময় টিভির কভারেজ অত্যন্ত বিতর্কিত হয়। সময় টিভির বিরুদ্ধে সরকারী পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন আন্দোলকারী ও বিরোধীরা। ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর সময় টিভির কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা করে, এতে প্রায় ১ দিনের জন্য সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মালিকানা নিয়েও দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
ইউকিপিডিয়া বাংলার তথ্য অনুযায়ী সময় টিভি ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে সম্প্রচারের জন্য সরকারের অনুমতি পায়। ২০১০ সালের ১০শে অক্টোবর তারিখে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চালু হয়। বাংলাদেশ সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম এবং তিন টিভি সাংবাদিক নিয়াজ মোরশেদ কাদেরী, তুষার আবদুল্লাহ ও আহমেদ জোবায়েরের নামে সময় টিভির অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৫০ শতাংশ অংশীদারত্ব হস্তান্তর করা হয় সিটি গ্রুপের ফজলুর রহমানের কাছে।
২০১৪ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখে অজ্ঞাত ব্যক্তি চট্টগ্রামে সময় টিভির একটি গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে, এতে গাড়ির চালক আহত হয়।[১০] বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীদের হামলার জন্য অভিযুক্ত করা হয়।
২০১৫ সালের ১লা এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বাইরে থেকে সময় টিভির সম্প্রচায় সরঞ্জাম জব্দ করে। ২০১৬ সালের মে মাসে মাদক ব্যবসায়ীরা সময় টিভির কক্সবাজার জেলার সংবাদ প্রতিবেদক সুজাউদ্দিন রুবেলকে মাদক পাচার সম্পর্কিত তার প্রতিবেদনের জন্য লাঞ্ছিত করে। ২০১৭ সালের ৩০শে নভেম্বর তারিখে, তৎকালীন ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের পুত্রের নেতৃত্বে সময় টিভির একজনসহ মোট চার সাংবাদিককে আক্রমণ করে আহত করে।