স্টাফ রিপোর্টার ।।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন। তাঁর বিদেশযাত্রা নিয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বুধবার দিবাগত রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আবদুল হামিদের বিদেশ যাওয়ায় কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তাই বাধা দেওয়া হয়নি।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি থাইল্যান্ডে গেছেন।
এদিকে, তাঁর দেশত্যাগে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং কিশোরগঞ্জে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও এসবির এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এদের কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম দফায় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।
গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে গুলির ঘটনায় আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর থেকেই তাঁর দেশত্যাগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।