স্টাফ রিপোর্টার ।।
লন্ডনের সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ে (দ্য স্কুল অব অরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ) আয়োজিত এক সেমিনার শেষে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে।
সেমিনারটি আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পেছনের রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কালো রঙের বিএমডব্লিউ গাড়ি বের হলে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা সেটিকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন। এমনকি তাঁদের কয়েকজন গাড়ির সামনে শুয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করারও চেষ্টা করেন। তবে পুলিশি হস্তক্ষেপে তা ব্যর্থ হয়।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দাবি, ওই গাড়িতে মাহফুজ আলম ছিলেন না। হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগের কর্মীরা ভেবেছিলেন, গাড়িটিতে মাহফুজ আলম আছেন। কিন্তু তিনি অন্য রাস্তায়, অন্য গাড়িতে করে সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন।”
ঘটনার পর লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত “জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর” শীর্ষক আলোচনায় যোগ দিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, “আজ আমি আওয়ামী লীগের আক্রমণের কাছাকাছি পর্যায়ে ছিলাম।”
প্রেস মিনিস্টারের ফেসবুক পোস্ট থেকে
বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, শুক্রবার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লন্ডনে দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। বিকেল চারটায় সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রায় ১৮ জন কর্মী বাইরে অবস্থান নেন এবং স্লোগান দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধে পুলিশ আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ায় উপদেষ্টার প্রবেশে কোনো সমস্যা হয়নি।
তিনি লিখেছেন, অনুষ্ঠান চলাকালে দুষ্কৃতকারীরা পার্কিং এলাকায় অপেক্ষমাণ গাড়ির ওপর ডিম নিক্ষেপ করে। অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা একাধিক গাড়িতে করে বেরিয়ে গেলে কিছু সময় পর হাইকমিশনের দুটি খালি গাড়ি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়। তখন কয়েকজন রাস্তায় শুয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং অন্যরা গাড়িগুলোর ওপর ডিম নিক্ষেপ করে। তবে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মাহফুজ আলম বাংলাদেশ হাইকমিশনে আরেকটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ছাত্র ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্বক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং উপদেষ্টার পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।