আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক ভারতকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, সীমান্তে আগ্রাসনের কোনো চেষ্টা করা হলে পাকিস্তান “চূড়ান্ত জবাব” দিতে প্রস্তুত আছে। এক্সপ্রেস নিউজের খবরে এমনটি বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আজাদ কাশ্মীরের আইনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে হক বলেন, “ভারতের সেই সাহস নেই যে সে পাকিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন করবে। কিন্তু যদি করে, তাহলে জবাব প্রস্তুত আছে—আর সেটা হবে শক্তিশালী।”
তিনি ভারতের বিরুদ্ধে কৌটিল্যের নীতিকে অনুসরণ করার অভিযোগ এনে বলেন, “কূটনীতির খোলসে ছুরি লুকানো”ই ভারতের আসল নীতি। পেহেলগামের সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে ভারতের বিবৃতিকে “পুরোপুরি মিথ্যা ও সাজানো নাটক” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত কোনো তৃতীয় পক্ষ ব্যবহার করে আজাদ কাশ্মীরের ভেতর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টাও করতে পারে। “ভারত যদি এমন কোনো দুঃসাহস করে, তবে এর উপযুক্ত জবাব পাবে,” বলেন তিনি।
হক অভিযোগ করেন, গত এক বছর ধরেই ভারত জল আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রেও ভারতের আন্তর্জাতিক ছাপ সুপরিচিত। “কানাডা থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত মোদির ভারত সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে রূপ দিয়েছে, আর সেটা আজ বিশ্বজুড়েই উন্মোচিত,” বলেন তিনি।
তিনি পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকাকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আজাদ কাশ্মীরের পতাকার পেছনে যে শক্তি, তা পাকিস্তানের সহায়তাই।” ভারতীয় দখলকৃত কাশ্মীরে যে স্বাধীনতা নেই, আজাদ কাশ্মীরে মানুষ সেই স্বাধীনতাই উপভোগ করছে বলেও তিনি জানান।
চৌধুরী আনোয়ারুল হক জাতিসংঘ সনদের আলোকে বলেন, যদি ভারত সীমান্ত লঙ্ঘন করে, তাহলে পাকিস্তানের জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার থাকবে। “ভারতের সেই সাহস হবে না,” যোগ করেন তিনি।
ভারতের পানির আগ্রাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, পুঁছ ও নীলম নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, যা পাকিস্তানবিরোধী ভারতের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “পাকিস্তান একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ। কোনো দেশ, এমনকি ভারতও, আমাদের সীমান্ত লঙ্ঘনের সাহস দেখাতে পারবে না। আমরা সব সময় জবাব দিতে প্রস্তুত।”