স্টাফ রিপোর্টার ।।
নতুন রেলসেতু চালু হওয়ায় যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। ফলে সেতুর ওপর থাকা রেললাইন অপসারণের কাজ শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এতে প্রায় সাড়ে ১১ ফুট অতিরিক্ত জায়গা পাওয়া যাবে, যা সড়কপথে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে সেতু বিভাগ। এর ফলে উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের জন্য যাত্রা আরও সহজ হবে।
সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, নকশা ও বিশেষজ্ঞ মতামত পাওয়ার পর সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। ছয় মাসের মধ্যে কাজ শুরু করার লক্ষ্য রয়েছে। এ প্রকল্পে দেশের ছয়টি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে।

যমুনা সেতু
যমুনা রেলসেতুটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি দেশের বৃহত্তম রেলসেতু, যাতে রয়েছে ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক। প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১৬,৭৮১ কোটি টাকা, যা সরকার ও জাইকার যৌথ অর্থায়নে নির্মিত।
১৯৯৮ সালে যমুনা সড়কসেতু চালুর সময় রেললাইন ছিল না। পরে নকশা পরিবর্তন করে রেললাইন যোগ করা হয়, যা সড়কপথকে সংকুচিত করেছিল। বর্তমানে যমুনা সেতু চার লেনের হলেও প্রস্থ আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় কম। ঈদসহ বড় উৎসবে সেতুর দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২২ হাজার যানবাহন চলাচল করে, যা ঈদের সময় এক দিনে ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

যমুনা সেতু পূর্ব টোল প্লাজা
সেতু বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রেললাইন সরানোর পর সেতুর মাঝখানের বিভাজক সরিয়ে দুই পাশে প্রায় পৌনে ছয় ফুট করে অতিরিক্ত পথ যুক্ত করা যাবে। এর ফলে চার লেনের মহাসড়কের সঙ্গে সমন্বয় ঘটবে এবং সেতুর যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন জানান, সেতু সম্প্রসারণের পর দুই প্রান্তের মহাসড়কের সঙ্গে যান চলাচল সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং যাত্রীদের যাত্রা হবে আরও আরামদায়ক।