স্টাফ রিপোর্টার ।।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘ আট বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নেতৃত্বে চলছে প্রতিষ্ঠানটি, যার ফলে দিনকে দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে এবং শিক্ষকদের বেতন-ভাতা অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বকেয়ার পরিমাণ ১৩ মাসে পৌঁছেছে।
এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগমকে দায়ী করছেন একাধিক শিক্ষক। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, অধ্যক্ষের আর্থিক দুর্ব্যবস্থাপনার কারণেই এমন দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন শিক্ষক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরগুলোতে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে স্কুল ভবনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া অর্থের ব্যবস্থাপনা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। একইভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি ও অন্যান্য বাবদ আদায়কৃত অর্থের স্বচ্ছতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ মরিয়ম বেগম জানিয়েছেন, এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনার তদন্ত করেছে এবং অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি। বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
বকেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আগে শিক্ষার্থী বেশি থাকায় আয় ভালো ছিল। তখন বেতন দিতে লাগত প্রায় ১৭ লাখ টাকা। কিন্তু এখন শিক্ষার্থী কমেছে, অথচ বেতন-ভাতা দিতে হচ্ছে প্রায় ২৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এ কারণে বেতন বকেয়া পড়ছে, এবং এই সমস্যা একদিনে হয়নি, অনেক আগ থেকেই চলে আসছে।
প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে এটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। একসময় শিক্ষার্থী ছিল প্রায় ৫ হাজার ৮০০ জন, যা এখন নেমে এসেছে প্রায় ২ হাজার ১০০-তে। বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারী সংখ্যা ১৭৩ জন, যাদের মধ্যে ৩৫ জন এমপিওভুক্ত। বাকিদের বেতন প্রতিষ্ঠানীয় আয়ের ওপর নির্ভরশীল, এবং মূল সমস্যাও এখানেই।