ইবি প্রতিনিধি ।।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। এরমধ্যেই তার মৃত্যু নিয়ে করা সুরতহাল প্রতিবেদনে উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাজিদ আব্দুল্লাহ’র নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল এবং গায়ের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিক। বাম হাতের কব্জির ওপর ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচে চামড়া ছেড়ার মতো আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে বুক, পেট, পিঠ, কোমর থেকে পা পর্যন্ত শরীরের অংশ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যৌনাঙ্গ ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তার বন্ধু ইসমাইল হোসেন এবং চিকিৎসক ডা. সেলিম।
এদিকে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যু নিয়ে অনেকের মনে উঠেছে নানা প্রশ্ন; কীভাবে তার মৃত্যু হলো? আদৌও তার সঙ্গে কিছু ঘটেছিল কিনা? এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সুরতহাল প্রতিবেদনে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যু পরবর্তী সময়ের গাঠনিক বর্ণনা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, মরদেহ উদ্ধারের সময় সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মাথা, কপাল ও মুখমণ্ডল স্বাভাবিক ছিল। মুখে ছিল কালো দাঁড়ি ও গোঁফ। পরনে ছিল ট্রাউজার ও টি-শার্ট। তার উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, চুল কালো ও আনুমানিক ৮ ইঞ্চি লম্বা। চোখ বন্ধ অবস্থায় ছিল এবং এক হাত ছিল অর্ধমুষ্টিবদ্ধ।