ক্রিকইনফো ।।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে, তৃতীয় আইপিএল ম্যাচেই বিশ্বের সেরা বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁতভাঙা জবাব দিল বৈভব সূর্যবংশী। তার ৩৫ বলে সেঞ্চুরি এনে দিল আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম শতক, এবং রাজস্থান রয়্যালসকে (RR) এনে দিল ২১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে সবচেয়ে দ্রুততম জয়—মাত্র ১৫.৫ ওভারে!
রেকর্ডের ফুলঝুরি
- সর্বকনিষ্ঠ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিয়ান।
- আইপিএলে ভারতীয় ব্যাটারের এক ইনিংসে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (১১টি)।
- টি-টোয়েন্টিতে শতকে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি থেকে রান (৯৪ রান)।
- আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম শতকের তালিকায় দ্বিতীয়।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত চিত্র
রাজস্থান রয়্যালস: ২১২/২ (সূর্যবংশী ১০১, যশস্বী ৭০*, পরাগ ৩২*, রশিদ ১-২৪)
গুজরাট টাইটানস: ২০৯/৪ (গিল ৮৪, বাটলার ৫০, থীকশানা ২-৩৫)
ফলাফল: রাজস্থান ৮ উইকেটে জয়ী।
সূর্যবংশীর দুর্দান্ত ইনিংস
ম্যাচের শুরুতেই বৈভব দেখান তিনি কোনো চাপে ভেঙে পড়েন না। দ্বিতীয় বলেই মহম্মদ সিরাজকে ছক্কায় উড়িয়ে শুরু। এরপর একে একে ইশান্ত শর্মা, প্রসিধ কৃষ্ণা, রশিদ খানদের ওপর চড়াও হন। প্রসিধের হার্ড-লেন্থ স্লোয়ার বলকেও ব্যাকফুট থেকে লং-অফে ছক্কায় পরিণত করেন—যা ইনিংসের এক স্মরণীয় মুহূর্ত।

বৈভব সূর্যবংশীর সেঞ্চুরি উদযাপন
যশস্বী জয়সওয়ালও ৪০ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন, তবে তিনিও অকপটে স্বীকার করেন, “এটা ছিল আমি জীবনে দেখা সেরা ইনিংসের একটি।”
গুজরাটের সংগ্রাম
শুভমান গিল ও বাটলারের অর্ধশতক সত্ত্বেও (৮৪ ও ৫০), গুজরাট নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০৯ রানে থামে। শেষদিকে হাসারাঙ্গা ও আর্চারের ওভারগুলোতে কিছুটা ধাক্কা খেলেও বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। তবে সূর্যবংশীর ঝড়ে তা শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত প্রমাণিত হয়নি।
বিশেষ মুহূর্ত
- আইপিএল অভিষেককারী করিম জানাতের একটি ওভারে সূর্যবংশী মারেন ৩০ রান।
- শতরানটি আসে কিংবদন্তি রশিদ খানের ওপর ছক্কা মেরে।
- আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ১০১ রান করেন বৈভব।
ছোট্ট ছেলের বড় স্বপ্ন
মাত্র তিন ম্যাচ পুরনো বৈভব সূর্যবংশী প্রমাণ করলেন, স্বপ্ন দেখা এবং তা বাস্তবায়ন করার মাঝে বয়স কোনো বাধা নয়। আইপিএলের এই রাত চিরকাল স্মরণীয় থাকবে—এক ১৪ বছরের ছেলের জন্য, যিনি সাহস, দক্ষতা আর তীব্র ইচ্ছাশক্তির দুর্দান্ত উদাহরণ হয়ে রইলেন।