চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ।।
চট্টগ্রামে পানি ও গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। টানা কয়েক দিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি ও গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা নুরজাহান বেগম জানান, চার দিন ধরে তাদের এলাকায় এক ফোঁটা পানিও আসেনি। গোসলের পানি দূরে থাক, নামাজের জন্য অজুর পানিও মিলছে না। একই সঙ্গে গ্যাস সংকট থাকায় ইফতার ও সাহ্রি প্রস্তুত করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
ওয়াসার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনে ফাটল এবং উন্নয়ন কাজের সময় পাইপ কেটে যাওয়ার কারণে এই পানি সংকট দেখা দিয়েছে। অপরদিকে, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় গ্যাসের অভাব দেখা দিচ্ছে। এ সংকট সমাধানে নগরবাসী ওয়াসা ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে (কেজিডিসিএল) বিক্ষোভ করেছেন।

পানি সংকট। ফাইল ফটো
গত ৮ মার্চ সাগরিকা এলাকায় বিদ্যুতের ভূগর্ভস্থ কেবল স্থাপনের সময় ওয়াসার প্রধান সঞ্চালন লাইন কেটে যায়, ফলে নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, সিডিএসহ কয়েক লাখ বাসিন্দা পানি পাচ্ছেন না। এছাড়া, ১৭ ফেব্রুয়ারি অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে কালভার্ট নির্মাণের সময় ওয়াসার ৪৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
গ্যাস সংকটের কারণে বিশেষ করে সাহ্রি ও ইফতারের সময় গ্যাসের চাপ কমে যায়। অনেক বাসিন্দা বাধ্য হয়ে কেনা খাবারের ওপর নির্ভর করছেন। হালিশহরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘সাহ্রির জন্য উঠে দেখি পানি নেই, চুলা জ্বালাতে গিয়ে দেখি গ্যাসও নেই।’
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের সময় ওয়াসার পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যার ফলে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এ সংকট সমাধানের জন্য তারা সমাধানের উপায় খুঁজছেন। অন্যদিকে, কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, পাইপলাইন মেরামতের জন্য সময় লাগছে, তবে বাসিন্দাদের আগে থেকেই জানানো হয়।