রাজনীতি ডেস্ক।।
পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় রিজভীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার বিষয়টি আজ রাতে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, মামলার বাদী এসআই শফিকুল ইসলাম ওইদিন সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাক, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক এনাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করে।
এতে আরও বলা হয়, আসামিরা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইনসের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে তাদের নিবৃত্ত করতে গেলে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন জাতীয় পার্টির ১৬ এমপি