ডেস্ক রিপোর্ট ।।
প্রস্তুত ছিল ইতিহাসের পট। যা বৃষ্টিতে ধুঁয়ে যেতে পারত। কিন্তু আবহাওয়া পূর্বাভাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আকাশ। গল্পের শেষটা বাংলাদেশও টেনেছে তুলি দিয়ে। চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ উতরে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ‘ধবলধোলাই’ করে ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছেন নাজমুল শান্ত-লিটন দাস-মেহেদী মিরাজরা। প্রথমবার পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারানো, প্রথমবার পাকিস্তানে টেস্ট জয়ের পর ধবলধোলাইয়ের কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে টেস্টে বাংলাদেশ চতুর্থবার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল।

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সাকিব-মুশফিক

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর সাকিব-মুশফিকের উদযাপন
জবাব দিতে নেমে মহাবিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানে হারায় ৬ উইকেট। ফলোঅন এবং টেস্ট হার যখন চোখ রাঙাচ্ছে তখন ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে যান লিটন দাস ও মেহদী মিরাজ। তারা ১৬৫ রানের জুটি গড়েন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৬২ রান পর্যন্ত যেতে পারে। পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে থাকে ১২ রানে। ওই ইনিংসে লিটন দাস টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। তুলে নেন চতুর্থ সেঞ্চুরি। মিরাজ খেলেন গুরুত্বপূর্ণ ৭৮ রানের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন দলের পেসাররা। মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা হাসান মাহমুদ ৫ উইকেট তুলে নেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে যা তার প্রথম ফাইফার। তরুণ ও দীর্ঘদেহি পেসার নাহিদ রানা পুরো ইনিংসে শুধু নাভিশ্বাস তোলা গতি ও বাউন্সার দিয়ে যাননি, তুলে নেন মহামূল্যবান ৪ উইকেটও। অন্য উইকেটটি তাসকিন নেওয়ায় দেশের পক্ষে টেস্টে প্রথমবার পেসারদের দখলে যায় ১০ উইকেট। এবার শান্তদের সামনে ভারতে টেস্ট পরীক্ষা।