স্টাফ রিপোর্টার ।।
তমদ্দুন মজলিশের সদস্য, একুশে পদক প্রাপ্ত ভাষা সৈনিক ও কিংবদন্তী সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল গফুর মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে ঢাকার স্বামীবাগে আজগর আলী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
আবুদল গফুরের ছেলে তারিখ আল বান্না বলেছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বৃহস্পতিবার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করান তারা।
পরিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৮টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজা শেষে মীরপুরে বুদ্ধিজীবী কবরাস্থানে দাফন করা হবে তার মরদেহ।
তমদ্দুন মজলিশের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন আবদুল গফুর। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজপথের বিক্ষোভ-সংগ্রামে তিনিও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৫ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর কিছু দিন সরকারি চাকরি করেন আবদুল গফুর। তবে শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতাকেই জীবনের পাথেয় করে নেন তিনি।
ঢাকার আবুজর গিফারী কলেজ ও ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে ১৭ বছর শিক্ষকতা করেছেন আবদুল গফুর। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকাশনা পরিচালক ছিলেন।
আবদুল গফুর সাপ্তাহিক জিন্দেগী, দৈনিক মিল্লাত, দৈনিক আজাদ, দৈনিক দেশ, দৈনিক ইনকিলাব, ইংরেজি দৈনিক পিপল, দৈনিক নাজাতসহ আরও অনেক পত্রিকায় কাজ করেছেন। দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তিনি ফিচার এডিটর ছিলেন, এটাই ছিলো তার শেষ চাকুরী।
নবতিপর এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে সাংবাদিক নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ওবায়দুর রহমান শাহীন ও বাছির জামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম ও খুরশীদ আলম এবং ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে।