ডেস্ক রিপোর্ট ।।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত করায় বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে উত্থান দেখা দিয়েছে, যার ফলে মাত্র একদিনেই বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলিয়নিয়ারের সম্মিলিত সম্পদ বেড়েছে ১৩১.৫ বিলিয়ন ডলার বা ১৩ হাজার ১৫৫ কোটি ডলার।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক একাই অর্জন করেছেন ২৮.৩ বিলিয়ন ডলার। তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৩৮০.৯ বিলিয়ন ডলারে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ১৮.৬ বিলিয়ন ডলার, এখন তাঁর সম্পদ ২০৭.৭ বিলিয়ন ডলার।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ, যাঁর সম্পদ বেড়েছে ২৫.৭ বিলিয়ন ডলার। এরপর রয়েছেন ল্যারি এলিসন (১৭.৯ বিলিয়ন বেড়ে ১৭৪.৮ বিলিয়ন) এবং বিনিয়োগ গুরু ওয়ারেন বাফেট (৮.১ বিলিয়ন বেড়ে ১৬১.৮ বিলিয়ন)।
ষষ্ঠ স্থানে থাকা বার্নার্ড আর্নল্ট অ্যান্ড ফ্যামিলির সম্পদ বেড়েছে ১.৬ বিলিয়ন ডলার (মোট ১৫০.১ বিলিয়ন)। সপ্তম স্থানে ল্যারি পেইজ (১১.১ বিলিয়ন বেড়ে ১৩২.৭ বিলিয়ন), অষ্টম স্থানে সের্জেই ব্রিন (১০.৪ বিলিয়ন বেড়ে ১২৭.২ বিলিয়ন), নবম স্থানে স্টিভ বালমার (৮ বিলিয়ন বেড়ে ১১৭.৪ বিলিয়ন) এবং দশম স্থানে আমানিকো ওর্তেগা (৪.৪ বিলিয়ন বেড়ে ১১৬ বিলিয়ন)।
এক নজরে: শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদ বৃদ্ধির তালিকা
- ইলন মাস্ক – ২৮.৩ বিলিয়ন ↑ (মোট ৩৮০.৯ বিলিয়ন)
- জেফ বেজোস – ১৮.৬ বিলিয়ন ↑ (মোট ২০৭.৭ বিলিয়ন)
- মার্ক জাকারবার্গ – ২৫.৭ বিলিয়ন ↑ (মোট ২০২.৬ বিলিয়ন)
- ল্যারি এলিসন – ১৭.৯ বিলিয়ন ↑ (মোট ১৭৪.৮ বিলিয়ন)
- ওয়ারেন বাফেট – ৮.১ বিলিয়ন ↑ (মোট ১৬১.৮ বিলিয়ন)
- বার্নার্ড আর্নল্ট – ১.৬ বিলিয়ন ↑ (মোট ১৫০.১ বিলিয়ন)
- ল্যারি পেইজ – ১১.১ বিলিয়ন ↑ (মোট ১৩২.৭ বিলিয়ন)
- সের্জেই ব্রিন – ১০.৪ বিলিয়ন ↑ (মোট ১২৭.২ বিলিয়ন)
- স্টিভ বালমার – ৮ বিলিয়ন ↑ (মোট ১১৭.৪ বিলিয়ন)
- আমানিকো ওর্তেগা – ৪.৪ বিলিয়ন ↑ (মোট ১১৬ বিলিয়ন)
ফোর্বসের তালিকায় দেখা গেছে, শীর্ষ ২০ জন ধনীর মধ্যে ১৯ জনেরই সম্পদ বেড়েছে, আর একজনের অপরিবর্তিত ছিল। অর্থাৎ কারও সম্পদ কমেনি। তবে ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির সম্পদ কমেছে ৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যার ফলে ৩ এপ্রিল বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর মোট ২০ বিলিয়ন ডলার হারিয়ে যায়। এটি ছিল ব্লুমবার্গ ইনডেক্সের ইতিহাসে চতুর্থ বৃহত্তম দৈনিক পতন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ মূলত তাঁদের কোম্পানির শেয়ারদরের ওঠানামার সঙ্গে জড়িত, তাই প্রতিদিনই এদের সম্পদে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়।