স্টাফ রিপোর্টার ।।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ডিসেম্বর থেকে আগামী জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ের একদিনও এদিক–সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, “আমরা শুধু নির্বাচন আয়োজনের জন্য দায়িত্ব নিইনি। আমাদের তিনটি বড় দায়িত্ব—সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। এর মধ্যে প্রতিটি কাজই গুরুত্বপূর্ণ এবং পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।”
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের দীর্ঘ আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানান দাবির মুখে পড়ছি। কেউ কেউ আন্দোলন ও সড়ক অবরোধের মাধ্যমে সেই দাবিগুলো জানাচ্ছেন। এতে করে ঢাকার স্বাভাবিক চলাচল কার্যত অচল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি নিরসনে আমরা কার্যকর কিছু করতে পারছি না। আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “আমরা চিন্তা করছি—যেসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায়। আদৌ তা পারব কি না, পারলে কীভাবে পারব, আর না পারলে কী করণীয় হবে, সেই বিষয়গুলো নিয়েও আমরা ভাবছি।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আবারও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর একদিনও আগে–পরে হওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই এই বিষয় নিয়ে অন্য কোনো কথা তোলা বা গুঞ্জন ছড়ানো অনুচিত। কারণ, সময় দেওয়া হয়েছে এবং সেটিই চূড়ান্ত।”
তিনি বলেন, “আমরা যদি আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি, তাহলে দায়িত্বে থাকা আমাদের জন্য অর্থবহ হবে। কিন্তু যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারি, তাহলে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ পেশাগত জীবনে ফেরত যাওয়াটাই হবে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত।”