স্টাফ রিপোর্টার ।।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নতুন খতিব হিসেবে ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞ ও হাদিস বিশারদ আল্লামা আব্দুল মালেক নিয়োগ পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তাঁকে জাতীয় মসজিদের খতিব পদে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আব্দুল মালেক একজন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবে পরিচিত, যিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইসলামিক স্টাডিজ, হাদিস, এবং ফিকহে ইসলামির ওপর তাঁর জ্ঞান ও গবেষণার স্বীকৃতির কারণে তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ মুফতি বিচারপতি তাকী উসমানী ছিলেন তাঁর ওস্তাদ, যাঁর তত্ত্বাবধানে তিনি ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করেন। পাশাপাশি, তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত ইমাম মোহাম্মদ ইবনে সাউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলুদ্দীন অনুষদের অধ্যাপক শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহের অধীনে দুই বছর ধরে হাদিস ও ইসলামি আইন বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনা করেছেন।
আল্লামা আব্দুল মালেক মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে ইসলামের প্রচার ও গবেষণায় অবদান রেখেছেন। মারকাযুদ্দাওয়া, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইসলামি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত, যেখানে ইসলামি শিক্ষা, গবেষণা এবং দাওয়াহর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানে তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে প্রশংসিত, যেখানে তিনি তরুণ আলেমদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও ইসলামি আইন নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করেন।
আবদুল মালেক আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি মক্কা, মদিনা, পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। বাংলা, আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় তাঁর লেখা ১৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে, যা ইসলামি জ্ঞানচর্চায় বিশেষ অবদান রেখেছে। তাছাড়া, তাঁর তত্ত্বাবধানে মাসিক “আল-কাউসার” নামে একটি গবেষণা পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয়, যা ইসলামি চিন্তাধারার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
নতুন খতিব হিসেবে তাঁর নিয়োগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ আরও সমৃদ্ধ হবে এবং ইসলামের প্রচার ও শিক্ষা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।