ডেস্ক রিপোর্ট ।।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিপিএলের ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাট করে ১৯৪ রান তোলে চিটাগং। জবাবে ৩ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।
উত্তেজনাপূর্ণ ফিনিশ
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন রিশাদ হোসেন, যিনি আগের ওভারেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। প্রথম বলেই ছক্কা মেরে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান তিনি। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্কোর লেভেল করেন। এরপর তানভীর প্রথম বল ডট দিলেও পরের বল ওয়াইড হলে জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের। উল্লাসে মেতে ওঠে লাল বাহিনী।
তামিমের বিধ্বংসী শুরু
রান তাড়ায় বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল ঝড়ো শুরু করেন। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৭ রান তোলে দলটি। ২৩ বলে ফিফটি করেন তামিম, কিন্তু ২৯ বলে ৫৪ রান করে শরিফুলের বলে আউট হন তিনি। এরপর ডেভিড মালান দ্রুত ফিরলেও মুশফিকুর রহিম ৯ বলে ১৬ রানের ক্যামিও খেলেন, যা দলকে চাপমুক্ত রাখে।

বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল
মায়ার্স-রিয়াদের কার্যকর পার্টনারশিপ
এরপর কাইল মায়ার্স ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জয়ের ভিত গড়ে তোলেন। নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মায়ার্স রান তাড়াকে সহজ করেন। শেষ ৩ ওভারে বরিশালের দরকার ছিল ২৫ রান। ১৮তম ওভারে শরিফুল ফেরান মায়ার্সকে, যিনি ২৮ বলে ৪৬ রান করেন। একই ওভারে আউট হন মাহমুদউল্লাহও।
শেষ দুই ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। ১৯তম ওভারে আসে ১২ রান। শেষ বলে মোহাম্মদ নবীকে ফেরান চিটাগংয়ের লঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্দো। ফলে শেষ ওভারে দরকার পড়ে ৮ রানের, যা সহজেই তুলে নেয় বরিশাল।
চিটাগংয়ের দারুণ ব্যাটিং, প্রথম শতরানের জুটি
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ ইমন ও খাজা নাফির ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় চিটাগং কিংস। ১২ ওভারে বিনা উইকেটে স্কোর দাঁড়ায় ১১৫ রান। বিপিএলের ফাইনালে এটিই প্রথম শতরানের জুটি। ৪৪ বলে ৬৬ রান করেন নাফি, আর ইমন ৪৯ বলে ৭৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। গ্রাহাম ক্লার্কও ২৩ বলে ৪৪ রান করেন, যা চিটাগংকে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেয়।
তবে তামিমের নেতৃত্বে বরিশাল দারুণভাবে রান তাড়া করে শিরোপা ধরে রাখে, মিরপুর পরিণত হয় লাল সমুদ্রে।