প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন: সর্বাত্মক চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার ভালো করতে পারছে না। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে তারা জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। বিএনপি যদি চাঁদাবাজদের বহিষ্কার করতে পারে, তাহলে সরকার কেন সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না? সরকার কি কোনো সিন্ডিকেটের নির্দেশে কাজ করছে?
প্রশ্ন: অন্তর্বর্তী সরকার কেমন হতে পারত?
উত্তর: অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতীয় সরকার গঠন করতে সব বিপ্লবী দলের সহযোগিতা নিত, তাহলে ফলাফল ভালো হতো। ১/১১ সরকারের ব্যর্থতার প্রধান কারণ ছিল এডভাইজারি কাউন্সিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হওয়া। নন-পলিটিক্যাল সরকার দীর্ঘমেয়াদে সফল হতে পারে না।
প্রশ্ন: বর্তমান সরকারের সমন্বয়হীনতার কারণ কী?
উত্তর: বর্তমান সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। উপদেষ্টারা নিজেদের অতিরিক্ত উৎপাদনশীল মনে করছেন, কিন্তু ড. ইউনূসের নির্দেশনা আরও কঠোর হওয়া উচিত। সরকারের নিয়োগগুলোতে যাচাই-বাছাইয়ের অভাব রয়েছে।
প্রশ্ন: নির্বাচন কমিশনের সংস্কার নিয়ে আপনার পরামর্শ কী?
উত্তর: প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে সংস্কারের জন্য প্রস্তাব জমা দেয়া উচিত। এর মাধ্যমে জনগণের মতামতও নেয়া যাবে, এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য কমিশনকে আরও ক্ষমতাবান করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন: সরকারের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে কী বলবেন?
উত্তর: বর্তমান সরকার জনগণের সাথে সম্পৃক্ত নয়, এবং তারা এভাবে বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। দ্রব্যমূল্য এখন প্রধান সমস্যা। সরকারের কোনো কার্যকর পরিবর্তন আনতে না পারার কারণে জনগণের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে।
প্রশ্ন: তারেক রহমানের (বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) অবস্থান সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
উত্তর: সম্প্রতি তারেক রহমানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ম্যাডামের (সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যগত বিষয়ে কাজ চলছে এবং তাকে লন্ডনে নেয়ার পরিকল্পনা আছে। এরপর তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হবে।
প্রশ্ন: জামায়াতের বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
উত্তর: জামায়াত একটি সুশৃঙ্খল দল। অতীতে তারা কেয়ারটেকার সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে এবং অনেক ভুগেছে। সাংগঠনিকভাবে তারা এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে, বিশেষ করে বিএনপি’র কোন্দলের কারণে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: ড. ইউনূসের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
উত্তর: ড. ইউনূস জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন, এবং তিনি নির্বাচিত হয়েছেন জনগণের সমর্থনে। তার জনপ্রিয়তা সমান্তরালে যাচ্ছে, কিন্তু এর পতন শুরু হওয়ার আগেই তাকে সরে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
প্রশ্ন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
উত্তর: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত, কারণ তারা বিভিন্ন অন্যায় করেছে। যদি দল নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে।