স্টাফ রিপোর্টার ।।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি হুমকি। এ ঘটনায় রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সকলকে একত্র হয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে বলে আহ্বান জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা। শনিবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলেন তাঁরা।
কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আহসানুল্লাহর নেতৃত্বে আয়োজিত সমাবেশে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে মিছিলটি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেট হয়ে বিমানবাহিনী স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত গিয়ে আবার রাওয়া ক্লাবের সামনে ফিরে কর্মসূচি শেষ হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) লুৎফুল হক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বক্তারা বলেন, ভারতের গেরুয়া আধিপত্যবাদ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
সমাবেশে আহসানুল্লাহ বলেন, ভারতের জনগণ বন্ধু হলেও আধিপত্যবাদী কার্যকলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতজানু করার প্রচেষ্টা কখনো মেনে নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “আগরতলায় হামলা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত।” ভিয়েনা কনভেনশনের আলোকে তিনি দূতাবাসে হামলার ঘটনাকে সরাসরি সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনীষ দেওয়ান বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৭২ সালের নয়; এখন তারা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। ১৭ কোটি জনগণ সশস্ত্র বাহিনীর পাশে রয়েছে।” বক্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য তরুণ প্রজন্ম ও জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।