ডেস্ক রিপোর্ট ।।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ১৯৯২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি শুক্রবার £১৯০ মিলিয়ন কেসে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ইমরান খানকে ১৪ বছরের এবং বুশরা বিবিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারের আদালতে বিচারক নাসির জাভেদ রানা এই রায় ঘোষণা করেন। আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবির জন্য যথাক্রমে ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে ইমরানকে আরও ছয় মাস এবং বুশরাকে অতিরিক্ত তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার পরপরই বুশরা বিবিকে আদালতের ভেতর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়ের সময় কারাগারের বাইরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি থেকে পাওয়া £১৯০ মিলিয়ন (প্রায় ৫০ বিলিয়ন রুপি) সরকারের তহবিলে জমা দেননি। বরং এই অর্থ দিয়ে তারা জমি ক্রয় করেন যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল।
প্রসিকিউশন ৩৫ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে, যাদের মধ্যে ছিলেন ইমরানের সাবেক প্রধান সচিব আজম খান ও সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারভেজ খট্টক। মামলায় তিনজন বিচারক বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন এবং ৩৮টি শুনানির পর চূড়ান্ত তদন্ত কর্মকর্তা মিয়ান উমর নাদিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আসামিদের ১৫টি সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তাদের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য। তবে প্রতিরক্ষা কোনো সাক্ষী উপস্থাপন করেনি। মামলার বাকি ছয়জন আসামি পলাতক থাকায় তাদের ‘প্রক্লেমড অফেন্ডার’ ঘোষণা করা হয়।
ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে দায়ের করা £১৯০ মিলিয়ন কেস পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই রায়ের মাধ্যমে দেশটির আইনের শাসন আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।