ডেস্ক রিপোর্ট ।।
পাক-শাসিত কাশ্মীরসহ দেশজুড়ে বৃহস্পতিবার ভারতের হুমকির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে শত শত পাকিস্তানি নাগরিক। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক যুদ্ধংদেহী মন্তব্য এবং সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের হুমকির জবাবে এই আন্দোলন হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে—ভারত যদি পাকিস্তানের পানিপ্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তবে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ভারতের কোনো আগ্রাসন হলে তারা সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত। লাহোরে ওয়াঘা সীমান্তের কাছে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের আয়োজিত সমাবেশে প্রায় ৭০০ মানুষ অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীদের একজন, আজমল বালোচ বলেন, “ভারত যদি যুদ্ধ চায়, তাহলে সামনে এসে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করুক।”
মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে একটি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসে’ সহায়তার অভিযোগ তোলে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “দোষীদের শাস্তি দেবে ভারত।”

পানিচুক্তি বাতিলের প্রতিবাদের করাচিতে বিক্ষোভ
ভারতের এমন অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় লাহোরের ২৫ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী মোহাম্মদ ওয়াইস বলেন, “পানি আমাদের অধিকার। আল্লাহর কৃপায়, প্রয়োজন হলে যুদ্ধের মাধ্যমেও আমরা তা ফিরিয়ে আনব। আমরা পিছু হটব না।”
আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদেও প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারী ভারতবিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির আঞ্চলিক নেতা শওকত জাভেদ মীর বলেন, “ভারত যদি হামলার ভুল করে, পাকিস্তানি কাশ্মীরিরা ফ্রন্টলাইনে থেকে লড়বে। পাকিস্তানের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত আমরা।”
বেলুচিস্তানের কোয়েটা শহরেও প্রায় ১৫০ জন বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা ভারতের ‘যুদ্ধোন্মাদতাকে’ প্রত্যাখ্যান করে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানান।
এই প্রতিবাদের অন্যতম কারণ ভারতের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা, যা দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে নদীর পানিবণ্টন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি।