সৈয়দ হাসসান ।।
মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ সংখ্যার সীমা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে গ্রাহক ঘণ্টা, দিন, এমনকি নির্দিষ্ট মেয়াদহীন (আনলিমিটেড) প্যাকেজও কিনতে পারবেন।
বিস্তারিত নির্দেশিকা:
আজ রোববার জারি করা নির্দেশিকায় বিটিআরসি জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ চালু করতে পারবে—
- নিয়মিত প্যাকেজ: সব গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত।
- গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ: গ্রাহকের ব্যবহার ও গড় আয় বিবেচনায়।
- গবেষণা ও উন্নয়ন প্যাকেজ: বাজার যাচাইয়ের জন্য।
প্যাকেজের মেয়াদ:
- নিয়মিত প্যাকেজ: সর্বনিম্ন ১৫ দিন।
- বিশেষ প্যাকেজ: সর্বনিম্ন ৩ দিন।
- গবেষণা প্যাকেজ: সর্বনিম্ন ৭ দিন।
ঘণ্টাভিত্তিক প্যাকেজ:
- প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ এমবি।
- এক দিনে ৩ জিবি, দুই দিনে ৫ জিবি, তিন দিনে ৮ জিবি ডেটা পর্যন্ত প্যাকেজ।
- রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কোনো প্যাকেজ দেওয়া যাবে না।
ফ্লেক্সিবল ও আনলিমিটেড প্যাকেজ:
গ্রাহক সুবিধামতো প্যাকেজ গ্রহণের জন্য থাকবে ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ এবং মেয়াদবিহীন প্যাকেজ। তবে আনলিমিটেড প্যাকেজে সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
ডেটা ক্যারি ফরওয়ার্ড:
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ পুনরায় কিনলে, অব্যবহৃত ডেটা পরবর্তী প্যাকেজে যোগ হবে।
অপারেটরদের প্রতিক্রিয়া:
বিটিআরসির নির্দেশিকাকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে স্বাগত জানিয়েছে অপারেটররা।
- রবি আজিয়াটা: নির্দেশনা ডিজিটাল সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- গ্রামীণফোন: এটি ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়াবে।
- বাংলালিংক: গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় সুযোগ বাড়বে।
পরিপ্রেক্ষিত:
ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রিতে অপারেটরদের ওপর শর্ত শিথিল হওয়ায় গ্রাহকদের বিকল্প এবং সুবিধা বেড়েছে।