স্টাফ রিপোর্টার ।।
ঢাকা থেকে শুরু হওয়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ আজ বিকেল চারটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছায়। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাসহ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির এই তিন সংগঠন লংমার্চের আয়োজন করে। সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কর্মসূচি ঘিরে আখাউড়া স্থলবন্দরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ, থানা–পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা এই নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, রিজার্ভ ফোর্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। স্থলবন্দর এলাকায় পাঁচ হাজার যানবাহন রাখার জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
লংমার্চটি আজ সকালে নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌঁছায়। ভৈরবে পথসভায় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপি আপসহীন।’
নয়াপল্টনে লংমার্চ শুরুর আগে সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনতা রক্ষায় আপসহীন থেকে কাজ করতে হবে। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
উল্লেখ্য, লংমার্চের কারণে আখাউড়া স্থলবন্দরে আজ যাত্রী পারাপারের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।