স্টাফ রিপোর্টার ।।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। এ বিষয়ে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ, কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, “৯৯৯ নম্বর থেকে কখনোই মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর বা ব্যাংক কার্ডের পিন চাওয়া হয় না, যা প্রতারণা হতে পারে।” তিনি জানান, সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকলে, প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সকল হুমকি পর্যালোচনা করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি:
কর্নেল হায়দার খান আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী অন্যান্য বাহিনী ও সরকারের সংস্থাগুলির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে, যাতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনশীল থাকে। সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশে মোতায়েন করা হয় এবং সরকারের সিদ্ধান্তে সেনা বাহিনী প্রত্যাহার হবে।
চাঁদাবাজি ও অপরাধ:
তিনি চাঁদাবাজি সম্পর্কে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছে, যার ফলে অনেক অপরাধী গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভ্যুত্থানে আহতরা:
সেনাবাহিনী সিএমএইচে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, এর মধ্যে ৩৬ জন এখনো চিকিৎসাধীন। সেনাবাহিনী, মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
সেনাবাহিনীর কার্যক্রম:
২৮ নভেম্বরের পর থেকে সেনাবাহিনী ২৮টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৪২৪টি গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে সেনাবাহিনী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ফলে দেশের ২ হাজার ৯৩টি তৈরি পোশাক কারখানার মধ্যে ১টি ছাড়া সব কারখানা বর্তমানে চালু আছে।
সেনাবাহিনীর সংকল্প:
কর্নেল হায়দার খান বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, জনগণের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, গণমাধ্যম এবং সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী পুরোপুরি সক্রিয় দায়িত্ব পালন করছে এবং এই সমন্বয় অব্যাহত রাখার জন্য সেনাবাহিনী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।