ডেস্ক রিপোর্ট ।।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ ভারতীয় নাগরিকদের দেশে তাড়িয়ে দেওয়ার উদোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ উদ্যোগের সঙ্গে একমত হয়ে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে তারা প্রস্তুত। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একত্রে ১৮,০০০ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী চিহ্নিত করেছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণা থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরও তিনি এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তার একদিন পরেই ১৮,০০০ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর খবর প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে ভারত সরকার হোয়াইট হাউসের বিরোধিতা না করে বরং সহযোগিতার মনোভাব দেখাচ্ছে।
সূত্রের দাবি, ভারত আশা করছে এই সহযোগিতার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা আদায় করা যাবে। বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসার মতো বৈধ অভিবাসনের সুযোগ সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রদত্ত এইচ-১বি ভিসার প্রায় ৭৫ শতাংশই ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ ছিল।

দিল্লিতে ট্রাম্প ও মোদী, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তোলা ছবি।
ভারতে কর্মসংস্থানের অভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অভিবাসন চুক্তি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তাইওয়ান, সৌদি আরব, জাপান এবং ইসরাইল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরানোর এই প্রক্রিয়া বৈধ অভিবাসনের সুযোগ বাড়াতে সহায়ক হবে।
অক্টোবর মাসে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে কিছু ভারতীয় নাগরিককে ফেরত পাঠানোর ঘটনা এ উদ্যোগের একটি উদাহরণ। মার্কিন সীমান্তে টহলরত কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৪ অর্থবছরে চিহ্নিত ভারতীয় অভিবাসীদের সংখ্যা প্রায় ৩ শতাংশ। যদিও মেক্সিকো, ভেনিজুয়েলা এবং গুয়াতেমালার মতো দেশগুলোর তুলনায় এই সংখ্যা কম, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় অভিবাসীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারত সরকার এবং ট্রাম্প প্রশাসনের এই যৌথ উদ্যোগ বৈধ অভিবাসনের পথ সুগম করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।