স্টাফ রিপোর্টার ।।
বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কোম্পানিগুলোর একটি প্রতিনিধি দল, যাদের প্রতিনিধিত্ব করে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে নেতৃত্ব দিতে এবং পারস্পরিক লাভজনক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
এই প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং এক্সেলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর পিটার হাস। প্রতিনিধি দলে মেটা, ভিসা, শেভরন, উবার, মেটলাইফ, মাস্টারকার্ড, বোয়িং এবং ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। উল্লেখ্য, এক্সেলারেট এনার্জি ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্ব দেয়।

মুহাম্মদ ইউনূস ও পিটার হাস
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মূল আলোচনা ছিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা। মার্কিন কোম্পানিগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে একটি মজবুত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রতি সমর্থন জানায়।
পিটার হাস বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্পে মার্কিন কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার রয়েছে, যার ভিত্তি হলো স্থিতিশীলতা, উদ্যোক্তা-মানসিকতা ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধি।” তিনি বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ এবং বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

মুহাম্মদ ইউনূস ও পিটার হাস
প্রতিনিধি দলে থাকা নিশা দেশাই বিসওয়াল, যিনি এর আগে ডিএফসি’র ডেপুটি সিইও এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ আনতে আগ্রহী, এবং বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা দূর করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অগ্রগতির কেন্দ্রে রয়েছে মার্কিন কোম্পানিগুলো। চলমান শুল্ক আলোচনার প্রেক্ষাপটে আমরা চাই বাংলাদেশ যথাযথভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরুক।”

মুহাম্মদ ইউনূস ও পিটার হাস
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশে মার্কিন কোম্পানিগুলোর অবদানের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ সহজ করতে ও যে কোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।