বিদেশ ডেস্ক।।
পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির বড় দুটি দল। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় জোট সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তবে এ লক্ষ্যে তাদের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হলেও কিছু মতপার্থক্য রয়ে গেছে। এর সমাধানে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আবারও বৈঠক করতে যাচ্ছেন উভয় দলের নেতারা। এক নেতার বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ পাকিস্তানে ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের বাস। ধীরগতির প্রবৃদ্ধি এবং রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতির মতো অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান জঙ্গি সহিংসতায় জর্জরিত দেশটি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশটির একটি স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন যেটি সংকটময় মুহূর্তে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেই ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও সরকার গঠনে দেখা দিয়েছে জটিলতা। কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠনে উঠে পড়ে লেগেছে দেশটির প্রধান দুটি দল। একাধিক বিষয়ে সুরাহার জন্য দফায় দফায় চলছে আলোচনা। কিছু বিষয়ে এখনও মতানৈক্য থাকায় সোমবারও আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন উভয় দলের নেতারা। জোট থেকে পিএমএল-এন দলের শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নির্বাচিত করার পর এ নিয়ে পঞ্চম রাউন্ডের মতো আলোচনা করতে যাচ্ছে পিএমএল-এন ও পিপিপি।
সোমবারের আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহবাজের দলের এক সিনেটর ইসহাক দার। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘এখনও চূড়ান্ত পয়েন্টে একমত হতে পারেনি উভয় দল।’ তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।