রবিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৫

আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি প্রচেষ্টা: আপডেট জানতে চেয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট

by ঢাকাবার্তা
ড. আফিয়া সিদ্দিকী। ফাইল ফটো

ডেস্ক রিপোর্ট ।। 

ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে ড. আফিয়া সিদ্দিকীর দয়া প্রার্থনা পত্র জমা দেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হোক। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

এই আদেশটি ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি এবং তাকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তার বোন ড. ফৌজিয়া সিদ্দিকীর দায়ের করা পিটিশনের শুনানির সময় দেওয়া হয়।

শুনানিতে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি সরদার এজাজ ইশাক খান। ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন ড. ফৌজিয়া সিদ্দিকী। এ ছাড়া পিটিশনের আইনজীবী ইমরান শফিক এবং সাবেক সিনেটর মুশতাকও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

আদালত যুক্তরাষ্ট্রে ড. আফিয়া সিদ্দিকীর আইনজীবী মি. ক্লাইভ স্মিথের উপস্থাপিত একটি ঘোষণাপত্র পর্যালোচনা করে তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

আইএইচসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে যে, মি. স্মিথের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে এবং এ বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিচারপতি খান উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি সার্বভৌম দেশ এবং তারা ভিসার আবেদন বাতিল করতে পারে, এমনকি তা ড. ফৌজিয়া সিদ্দিকী বা প্রধানমন্ত্রীর আবেদন হলেও। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ড. ফৌজিয়া সিদ্দিকী আদালতকে জানান যে, একটি দেশের প্রধান আরেক দেশের নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি লিখলে তার উত্তর প্রত্যাশিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি নিশ্চিত করেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠি লিখলেও তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া, ড. আফিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য একটি পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল।

আদালত প্রতিনিধিদলের সফরের বিলম্ব এবং প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

বিচারপতি খান জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের বিষয় রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিত, বিশেষ করে যেখানে রাষ্ট্রপ্রধান চিঠি লিখেছেন কিন্তু কোনো উত্তর পাননি। রাষ্ট্রদূতের উচিত ছিল বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করা।

আদালত প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদেশ সফরের বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে। অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল এই তথ্য সরবরাহের আবেদনের প্রত্যাহার চাইলেও আদালত তদন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net