স্টাফ রিপোর্টার ।।
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চার কোটি টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে সিআইডির সাবেক প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও ‘মেডিকো’ কোচিং সেন্টারের মালিক মো. জোবায়দুর রহমান জনি। আদালত পল্টন থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
জোবায়দুর রহমান জনির অভিযোগ, গত বছরের ২ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তা তাঁকে শান্তিনগরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে তাঁর চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয় এবং পরিবারের কাছে ছবি পাঠিয়ে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার ও স্ত্রীকে মানিলন্ডারিং মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়।
জনির পরিবার গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রি করে এসআই মেহেদী হাসানের চালকের কাছে চার কোটি টাকা পরিশোধ করেন। এসআই আতিকুর রহমান চাঁদা আদায়ের সময় ও স্থান নির্ধারণ করতেন বলে মামলায় বলা হয়। টাকা লেনদেনের অডিও রেকর্ড এবং ব্যাংক হিসাব অবরোধের কথাও মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
জনি জানান, রিমান্ডে পেটানোর পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে রাজারবাগ হাসপাতাল হয়ে কারা হাসপাতালে ৪৩ দিন চিকিৎসা নিতে হয়।
মামলায় মোহাম্মদ আলী মিয়া ছাড়াও জুয়েল চাকমা, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই আতিকুর রহমান ও আরও চার অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জোবায়দুর রহমান জনি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের আগস্টে মোহাম্মদ আলী সিআইডি প্রধান হন। গত বছর সরকার পতনের পর তাঁকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয় এবং ২২ আগস্ট বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আটটি হত্যা মামলাও রয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার বাসিন্দা।