রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাকিবের বাবার নেতৃত্বে মাগুরায় ২ হত্যাকাণ্ড

by ঢাকাবার্তা
গত ৪ আগস্ট সাকিব আল হাসানের পিতা মাশরুর রেজার নেতৃত্বে থানা সদরের সামনে জঙ্গি জমায়েত।

ডেস্ক রিপোর্ট ।। 

শেখ হাসিনার সরকার পতনের একদিন আগে ৪ আগস্ট মাগুরায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দুইজন নিহত ও অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগ ওঠে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্ব দেন তৎকালীন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মাশরুর রেজা কুটিল, যিনি সাকিব আল হাসানের বাবা। খবর বাংলা আউটলুকের।

আন্দোলনের দিনে মাগুরা শহরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছাত্রদলের নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন নিহত হন। রাব্বি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ফরহাদকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাকিবের বাবা এবং সাকিবপন্থী আওয়ামী লীগের নেতারা সশস্ত্র অবস্থায় ঘটনাস্থলে ছিলেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি মাগুরা সদর থানার সামনে বিপুল সংখ্যক সশস্ত্র কর্মী নিয়ে উপস্থিত হন।

গোলাগুলির পর রাব্বির পরিবার ও ফরহাদের পরিবার মামলা করতে চাইলেও পরিবারকে মামলা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। ফরহাদের মা জানান, আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছেন। জেলা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, সাকিবের বাবার ভূমিকা এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীদের মারমুখি আচরণের কারণেই সেদিন সংঘর্ষ ঘটে, যা শেখ হাসিনার সরকার পতনের প্রাক্কালে ঘটে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের বিতর্কিত নির্বাচনের আগ থেকেই তৎকালীন এমপি সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক কার্যক্রম তার অনুপস্থিতিতে তার বাবা তদারকি করে আসছিলেন।

গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী শহরের ঢাকা রোডের কাছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। ওই হামলার নেতৃত্ব দেন সাকিবের বাবা। আর ওই সময় তার সঙ্গে সাকিবপন্থি আওয়ামী লীগের আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৪ আগস্ট মাগুরা শহরে তিন ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে নিহত হন জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি (৩২) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন (২১)। এরা দুজনেই গুলিবিদ্ধ হন শহরের ঢাকা রোড সংলগ্ন পারনান্দুয়ালী পুরাতন ব্রিজের কাছে। রাব্বি নিহত হন সোয়া ১১টার দিকে। আর ফরহাদ নিহত হন দুপুর ১টা ৪৬ মিনিট থেকে দুপুর ২টার মধ্যে।

মাগুরায় এই দুই হত্যাকাণ্ড এবং প্রায় তিন ডজনের বেশি ছাত্র জনতা আহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাকিব বা তার বাবার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। বিএনপির কর্মীদের অভিযোগ, জেলা বিএনপির নেতৃত্বে আছেন সাকিবের আত্মীয়-স্বজনরা। জ্যেষ্ঠ এই নেতারা সাকিব পরিবারের বিরুদ্ধে কৌশলে মামলা করতে দেননি।

গত ২০ অক্টোবর দুপুরে মাগুরার বাড়িতে গিয়ে সাকিবের বাবা বা পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিতরা বলছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সাকিবের বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও দেশ ছেড়েছেন। তবে তারা আসলে কোথায় অবস্থান করছেন তা নিশ্চত করা যায়নি।

You may also like

প্রকাশক : মানজুর এলাহী

সম্পাদক : হামীম কেফায়েত

ব‌ইচিত্র পাবলিশার্স
প্যারিদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০
যোগাযোগ : +8801712813999
ইমেইল : news@dhakabarta.net