“দেশের জন্য ছাত্ররা যে টিম স্পিরিট দেখিয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। এনটিভি একটি পরিবার, আর সেই পরিবারের সব সদস্য করোনার সময় জীবন বাজি রেখে চ্যানেলকে আগলে রেখেছেন। আমি তাদের নিয়ে গর্বিত।” এনটিভির কর্মীদের উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেছেন আলহাজ্ব মোসাদ্দেক আলী ফালু।
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত বছর পর, রবিবার (১৮ আগস্ট) দুবাই থেকে দেশে ফিরেছেন এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু। পরদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এনটিভির প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে এনটিভির সর্বস্তরের কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

আলহাজ্ব মোসাদ্দেক আলী ফালু
দেশে ফিরে ফালু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এনটিভির প্রতিটি বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তরুণ প্রজন্মের অবদানকে ধন্যবাদ জানান। শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি।
এনটিভির চেয়ারম্যান নতুন বাংলাদেশের জন্য আরও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের আশা প্রকাশ করেন এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বে তুলে ধরার অঙ্গীকার করেন।
এই সময় এনটিভির পরিচালক, মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আলহাজ্ব মোসাদ্দেক আলী ফালু
ওয়ান ইলেভেনের সময় থেকে শুরু হওয়া রাজনীতিক নিপীড়নের সময় ফালুকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। তবে মাতৃভূমির প্রতি তাঁর ভালোবাসা কখনও কমেনি। তিনি সবসময় মানুষের পাশে থেকেছেন এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী একজন স্বনামধন্য উদ্যোক্তা ও রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের প্রথম অটোমেশনভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি এবং আরও একটি চ্যানেল আরটিভি ও ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
মোসাদ্দেক আলী ফালু ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। এরপর ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন। বিএনপির একটি কমিটিতে ফালুকে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং পরের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। তবে ২০১৬ সালে বিএনপির নতুন কমিটি হলে সেখানে তার নাম ছিল না। ওই কমিটি ঘোষণার পরপরই ফালু দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে একের পর এক মামলায় জর্জরিত ফালু ২০১৭ সালের ৯ মার্চ দেশ ছাড়েন।