সবজান্তা সমশের ।।
বাংলাদেশের কাঁচাবাজারে আজ ১ নভেম্বর ২০২৪ থেকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্পগুলোর ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (Syeda Rizwana Hasan)।
এই সিদ্ধান্তটি বিভিন্ন স্তরের মানুষের দ্বারা সমর্থিত হয়েছে, যারা পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া, জুট এবং কটনের তৈরি ব্যাগের মতো পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারের প্রতি সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন বিকল্প বিকাশে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যেমন:
১. পাট ও কটনের ব্যাগ: এই ধরনের ব্যাগগুলি শক্তিশালী এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য, যা স্থানীয় শিল্পীদের সমর্থন করে।
২. হেম্প ব্যাগ: শক্তিশালী এবং টেকসই হওয়ায় হেম্প ব্যাগ পরিবেশবান্ধব ক্রেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
৩. কাগজের ব্যাগ: যদিও কাগজের ব্যাগগুলি বাইোডেগ্রেডেবল, সেগুলোকে জলরোধী করার প্রয়োজন হতে পারে।
৪. তাঁত করা ব্যাগ: প্রাকৃতিক ফাইবার দিয়ে তৈরি হাতে তৈরি তাঁত করা ব্যাগগুলি কার্যকর এবং স্টাইলিশ।
৫. পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ থেকে তৈরি ব্যাগ: পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি ব্যাগগুলি বর্জ্য হ্রাস করতে সাহায্য করে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে যাতে এই নিষেধাজ্ঞার কার্যকর বাস্তবায়ন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা হয়। এই কমিটি বিভিন্ন বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিশ্চিত করবে যে সবাই নিষেধাজ্ঞার প্রতি অনুগত।
কাঁচাবাজারেও এবার পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ
সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষামূলক উদ্যোগগুলি ব্যবহারকারীদের জন্য পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝাতে সাহায্য করবে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তারা পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহারের প্রচারও করবেন।
এভাবে বাংলাদেশ পলিথিন বর্জনের দিকে একটি নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।