ডেস্ক রিপোর্ট ।।
নিখোঁজ সাবমার্সিবল ‘টাইটান’-এর পাঁচজন আরোহী সবাই নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। কর্মকর্তাদের ধারণা, ডুবোযানটি সমুদ্রের তলদেশে একটি ‘বিপর্যয়কর বিস্ফোরণ’-এর শিকার হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে কিছু ভাঙা বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়। পরে এগুলো টাইটান ডুবোযানের অংশ বলে নিশ্চিত করা হয়।

সাবমার্সিবল টাইটানের ৫ যাত্রী, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে অনুসন্ধানকারী সংস্থা।
ডুবোযানটি রোববার (১৮ জুন) নিখোঁজ হয়েছিল। এটি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিল।
ডুবোযানটির আরোহীরা ছিলেন:
- স্টকটন রাশ (৬১), ওশানগেট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী
- শাহজাদা দাউদ (৪৮), ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের
- সুলেমান দাউদ (১৯), শাহজাদার ছেলে
- হ্যামিশ হার্ডিং (৫৮), ব্রিটিশ ধনকুবের ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী
- পল-অঁরি নারজিওলেট (৭৭), ফরাসি সাবেক নৌ-ডুবুরি ও অভিযাত্রী
দূর-নিয়ন্ত্রিত অনুসন্ধানযান (ROV) টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রায় ৪৮০ মিটার দূরে টাইটানের পাঁচটি ধ্বংসাবশেষ টুকরো শনাক্ত করে। এর মধ্যে ছিল যানটির সামনের টাইটানিয়াম অংশ এবং লেজের টুকরো।

পিতাপুত্র শাহজাদা দাউদ ও সুলেমান দাউদ
কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মগার বলেন, “ধ্বংসাবশেষের গঠন দেখে মনে হচ্ছে ডুবোযানটি একটি আকস্মিক ও বিধ্বংসী বিস্ফোরণে ফেটে গেছে।” তিনি আরও বলেন, আরোহীদের দেহাবশেষ উদ্ধার সম্ভব হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। “সমুদ্রের তলদেশের পরিবেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ,” জানান তিনি।
নিখোঁজের পর থেকে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান অভিযানে যুক্ত হয় আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। কোন সংস্থা দুর্ঘটনার তদন্ত করবে, তা এখনো নির্ধারিত নয়।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মগার বলেন, “এটি জটিল একটি ঘটনা। দুর্ঘটনাস্থল আটলান্টিক মহাসাগরের একটি দূরবর্তী অঞ্চল এবং আরোহীরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন।”
তবে অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দেয়া কোস্ট গার্ড ভবিষ্যত তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি জানান।